• sherebangla.bm@gmail.com
  • 01717355195

Chairman Message

Chairman, Sher E Bangla Balika Mahavidyalaya

শেরে বাংলা বালিকা মহাবিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে এই প্রতিষ্ঠানের সকল শ্রেণির শিক্ষার্থী, শিক্ষক মন্ডলী, অভিভাবক, শুভানুধ্যায়ীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন ও স্বাগতম। উক্ত ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের সেবার মান আরো এক ধাপ এগিয়ে যাবে বলে আমি দৃঢ়ভাবে আশাবাদ ব্যক্ত করছি। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণ এখন থেকে ঘরে বসে শেরে বাংলা বালিকা মহাবিদ্যালয় সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য ও নোটিশ দেখার সুযোগ পাবে। তাদের শিক্ষা বা প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট যে কোন পরামর্শ ইমেইলে প্রেরণ করতে পারবে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ঘোষিত একবিংশ শতাব্দির চ্যালেন্জ মোকাবেলা ও ডিজিটাল সেবায় আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে কর্মকান্ড চালিয়ে যাব, যেন শিক্ষার্থীগণ উন্নততর সেবা পেতে সক্ষম হয়। উক্ত অগ্রযাত্রায় আপনাদের সকলের সহযোগিতা একান্তভাবে কামনা করছি।

Read More

Principal Message

MD. TOFAIL AHMED BHUIYAN

Principal(Acting), Sher E Bangla Balika Mahavidyalaya

শিক্ষা একটি দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ পূর্বশর্ত। প্রতিটি শিক্ষার্থীর মন ও মননশীলতা বিকাশে এবং তাদেরকে দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। শিক্ষা অর্জনে নিজস্ব সাধনার বিষয় হলো একাগ্রতা। একাগ্রতা ও নিষ্ঠা শিক্ষার্থীদের মানবিক মূল্যবোধ ও নৈতিক চেতনার বিকাশ ঘটায়। পৃথিবীর অন্যতম সম্পদ হচ্ছে সময়। সময়ের প্রতি সচেতন থেকে যথেষ্ট পরিশ্রম করলে সফলতা আসবেই। শিক্ষার্থীদের স্মরণ রাখতে হবে বাহ্যিক সৌন্দর্য যেমন সাজসজ্জা, তেমনি মনের সৌন্দর্য বিনয়ী আচরণ ও নৈতিকতা। যিনি নৈতিক চরিত্রের অধিকারী তিনি কখনো সত্য থেকে বিচ্যুত হন না, অন্যায়কে প্রশ্রয় দেন না, ক্রোধে কিংবা আনন্দে আত্মহারা হন না, গর্বে গর্বিত হন না, কারো সাথে নিষ্ঠুর আচরণ করেন না। পৃথিবীতে সত্যের আলো জ্বালাতে প্রতিটি ব্যক্তিকে অপরের প্রতি এবং দেশের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। জগতে অসত্যের কারারুদ্ধতা থেকে সত্যের আলোর পথে যাত্রা শুরু করতে শিক্ষার্থীদেরকে এখন থেকে প্রস্তুত হতে হবে। শান্তি, সম্প্রীতি, মিলন ও বিশ্ব ভ্রাতৃত্বের তীব্র আকাঙ্ক্ষা প্রতিটি মানুষের অন্তরে বিরাজমান। মানুষের অন্তরের এ আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবে রূপ দিতে হলে এমন সুশিক্ষিত মানুষের প্রয়োজন, যারা উদার চিত্ত, সংস্কারমুক্ত, মুক্তচিন্তা ও মুক্তবুদ্ধির অধিকারী, পরার্থপর এবং নিবেদিতপ্রাণ। নতুন প্রজন্মের কাছে আমার প্রত্যাশা আগামী দিনগুলোতে তোমাদের বিকাশ এ পথেই অগ্রসর হবে। সকলের জীবন সুন্দর, সফল, অর্থপূর্ণ হোক এবং জীবনের যাত্রাপথ সুগম হোক। আল্লাহ হাফেজ।

Read More

History

ব্রিটিশ শাসিত পাক ভারত উপমহাদেশে থেকে শুরু করে আজকের এই এক বিংশ শতাব্দীর স্বাধীন বাংলাদেশ নারী শিক্ষা প্রসারে হাতে গোনা একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে “নারী শিক্ষা মন্দির" তাদের মধ্যে একটি অনন্য নাম আজকের শেরে বাংলা বালিকা মহাবিদ্যালয় নারী শিক্ষা মন্দির পরিচিতি নাম । তৎকালীন ব্রিটিশ শাসিত এ পাক ভারত উপমহাদেশে বাংলার নারী সমাজ যখন উপেক্ষিত ছিল , ছিল অজ্ঞানতার অন্ধকারে , নিমজ্জিত , শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত সেই অন্ধকারেও কুসংস্কারাচ্ছন্ন যুগে পশ্চাদপদ নারী সমাজে ও রাষ্ট্রের বৃহত্তর অঙ্গনে নারীদেরও প্রতিষ্ঠিত করার মহান ব্রত নিয়ে আত্মপ্রত্যয়ী ত্যাগী ও তেজস্বী অসাধারন শিক্ষানুরাগী নারী স্বর্গত লীলাবতী রায় (নাগ) ১৯২৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারী এই নারী শিক্ষা মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন । ঢাকা মহানগরীর পুরানো অভিজাত এলাকা র্যাঙ্কিন স্ট্রিটের একটি ছোট্র একতলা বাড়ীতে মাদুর পেতে চলতো এর ক্লাস , ছাত্রী সংখ্যা ছিল মাত্র তিন জন । তখনকার দিনে নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা ছিল এক দুঃসাহসী ভাবনা , ঢাকাবাসী সেদিন অবাক হয়ে দুঃসাহসী এই নারী লীলা রায়ের স্কুল প্রতিষ্ঠানের কথা জেনে ছিল । প্রতিষ্ঠানটির উদ্ধোধনী অনুষ্ঠান উপস্থিত ছিলেন অনেক বিশিষ্ট নাগরিক । তাদের মধ্যে একজন হচ্ছেন প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ ও বিজ্ঞানী তৎকালীন জাতীয় অধ্যাপক ডঃকাজী মোতাহার হোসেন । ১৯২৯ সালে ১৪ নম্বর ওয়্যার স্ট্রীটে প্রাতিষ্ঠানটি স্থানান্তরিত হয় । ত্রিশের দশকের শুরুতে ২০ নম্বর হাটখোলা বোর্ডে । শিক্ষাব্রতী এই স্থপতি নিজস্ব ১.৬৪ একর জমির উপর একটি বাড়ীতে প্রতিষ্ঠানটি পাকাপাকি ভাবে প্রতিষ্ঠিত করেন হাটখোলায় স্থানান্তরিত হওয়ার পরে নারী শিক্ষামন্দিও হাইস্কুলে উন্নীত হয় । প্রকৃত পক্ষে স্কুলটি কোন সাধারণ মেয়েদের স্কুল ছিল না । যে বয়স্ক শিক্ষা ও কর্মমুখী শিক্ষার প্রসার আজকের দিনে আমাদের প্রধান লক্ষ্য তারই ব্যবস্থা ছিল এই প্রতিষ্ঠানে প্রারম্ভিক কাল থেকে । এ সময় স্কুলের কর্মক্ষেত্রে তিনভাগে বিভক্ত ছিল ক) সাধারন উচ্চ শিক্ষা খ) কোচিং ক্লাস, বয়স্ক শিক্ষা গ) বিশেষ বিভাগ ( তৎকালে যারা কোলকতা বিশ্ববিদ্যালয় এর অধীনে প্রবেশিকা পরীক্ষা দিতে ইচ্ছেুক ছিল তাদের বিশেষভাবে এই বিভাগে পড়া হতো । এছাড়াও চিত্রাঙ্কন ও সংগীত শিক্ষার বিশেষ ব্যবস্থা ছিল। বস্তুত নিম্মবিত্ত ও নিম্মমধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়েদের উচ্চ শিক্ষার সুযোগ দানে প্রতিষ্ঠানটি গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রেখেছিল । স্কুল স্থাপনের মাত্র চার বছর পরই রাজনৈতিক কারনে দেশপ্রেমিক লীলা রায় (নাগ) আত্মগোপনে যেতে বাধ্য হন । এরপর এবং পর্যায়ক্রমে যারা শিক্ষকতা ও প্রশাসনিক দায়িত্বে ছিলেন তাদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ও সুনিপুন পরিচালনায় নারী শিক্ষা মন্দিরের যশ ও খ্যাতি হয়ে পড়ে বিশ্রুতির কাহিনী । এই ঐতিহ্যমন্ডিত বিদ্যাপীঠটি যথাযথই সক্ষম হয়েছিল জ্ঞানচর্চার প্রানকেন্দ্রে পরিনত হতে । মহাকালের বিবর্তন রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে অনেক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয় নারী শিক্ষা মন্দির । যশস্বী শিক্ষকদের অনেকেই দেশ ত্যাগ করে চলে গেলে এক নিদারুন শুন্যতার সৃষ্টি হলেও ১৯৬৬ সালে অধ্যক্ষ হোসেনে আরা শাহেদ দায়িত্বভার গ্রহন করার পর আবার এর অগ্রযাত্রা শুরু হয় ।১৯৬৬ সালের সুযোগ্য পরিচালনা কমিটির সেক্রেটারী তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী সৈয়দ আজিজুল হক , কমিটির সদস্য বিচারপতি জনাব নূরুল ইসলাম , প্রাক্তন এম পি জনাব আফতাবউদ্দিন ভূঁইয়া এবং শিক্ষানুরাগী সৈয়দ শামসুদ্দিন আহমেদ এর উদ্দ্যোগে এবং তৎকালীন সফল অধ্যক্ষ বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও কলামিষ্ট হোসেন আরা শাহেদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় নারী শিক্ষা মন্দিও সংযোজিত হলো একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণী অথ্যাৎ উন্নীত হলো আপগ্রেডেড প্রতিষ্ঠানে । কালের বিবর্তনে নারী শিক্ষা মন্দির শেরে বাংলা বালিকা মহাবিদ্যালয় নামে পরিবর্তিত হলো । এরপর ১৯৭১ সালে শুরু হল মুক্তিযুদ্ধ । দেশের সেই চরম দুরবস্থায় স্তিমিত হয়ে গিয়েছিল প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম ।দেশ স্বাধীন হলো জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে ১০ জানুয়ারী দেশে ফিরলেন । যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশ স্বাভাবিক হতে না হতেই ১৯৭৫ সালে ১৫ আগষ্ট সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ এই বাঙালী জাতির জনক শাহাদৎবরণ করার পর সমগ্র বাংলাদেশের মত এ প্রৃতিষ্ঠানেও সৃষ্টি হল এক গভীর শুন্যতা, বাধা প্রাপ্ত হলো এর গতি । প্রতিষ্ঠান আবার সংকটের মুখে পড়ল। পূর্বের কমিটি বাতিল হয়ে গেল। বহু প্রচেষ্টায় তৈরি হল নতুন এডহক কমিটি । প্রকৃতপক্ষে রাজনৈতিক কারনে প্রতিষ্ঠানটি উপেক্ষিত হয়েছে বার বার , হয়েছে বৈষম্যের শিকার । সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা পায়নি বললেই চলে । ফলে স্বচ্ছলতার মূখ দেখেনি কখনই ।প্রয়োজনীয় সংখ্যক ক্লাস রুম নেই , রয়েছে মান সম্পুর্ন ক্লাস রুমের অভাব , আধূনিক যন্ত্রপাতি সম্বলিত গবেষনাগারের সংকট ও তীব্র । নেই কোন হল রুম , নেই সাধারণ ছাত্রীদের একটি কমন রুম । ক্যান্টিনের মানও আসবারপত্র অবস্থানও অত্যন্ত হীন । নেই একটি জেনারেটর, সর্বক্ষনিক বিদ্যুৎ পাওয়ার অত্যন্ত নিম্ম । লাইব্রেরীর অবস্থানও হীন । ফলে দীর্ঘ ৮৯ বছরওে পুরানো ঐতিহ্যবাহী এই প্রতিষ্ঠান হারিয়েছে পূর্বের তার ঐতিহ্য , পারেনি কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে, টিকে আছে মাত্র। বর্তমান শতাব্দীর গোড়ার দিকে প্রতিষ্ঠানেটি আবার সংকটের মুখে পড়ে । একটি স্বার্থন্বেষী মহলের ষড়যন্ত্রে প্রতিষ্টানটি মান ক্ষুন্ন হয় । প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্যদেও বর্তমান সভাপতি বিশিষ্ট সমাজসেবী ও শিক্ষানুরাগী শেখ রাসেল ক্রিড়া চক্র (ক্রিকেট) জনাব মোঃ রাসুরুল হক মল্লিক শাহীন দায়িত্বভার গ্রহণ করার পর তার নিরলস প্রয়াসে প্রতিষ্ঠানটি সংকট কাটিয়ে আবার এর অগ্রযাত্রা শুরু করেছে । মাননীয় সভাপতির নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ মোঃ মনোয়ার হোসেন , পরিচালনা পর্যদের সদস্যবৃন্দ , ছাত্রী, শিক্ষক ও কর্মচারীবৃন্দ সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিষ্ঠানটিকে দেশের অন্যতম সেরা প্রতিষ্ঠান হিসাবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ক্লান্তিহীন ও নিরলস প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন । আনন্দের বিষয় ১৯৫৬ সালে চতুর্থ শ্রেণীর এক ক্ষুদে ছাত্রী শেখ হাসিনা যিনি বাংলাদেশে স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জেষ্ঠ্য কন্যা আজ গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সর্বকালের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমাদের দেশরত্ন । যে রত্ন এই নারী শিক্ষা মন্দিরের চেয়ে বড় প্রাপ্তিই বা কি । নারী শিক্ষা মন্দির এর জম্ম সার্থক এ প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পৃক্ত সকল সদস্য । সুখের কথা মাননীয় প্রধান মন্ত্রী স্বয়ং আজ তার শৈশব স্মৃতিবিজরিত এই প্রতিষ্ঠানের কথা আন্তরিকভাবে ভাবছেন , ভাবছেন কিভাবে এ প্রতিষ্ঠানকে উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছে দেয়া যায় । ইতোমধ্যেই তিনি এ প্রতিষ্ঠানের ছাত্রীদের যাতায়াতের জন্য দুটি বাস উপহার দিয়েছেন । ছাত্রী হোস্টেল নির্মানসহ অবকাঠামো গত যাবতীয় উন্নয়নের প্রতিশুতি দিয়েছেন । আশ্বাস দিয়েছেন মালটিমিডিয়া ক্লাসরুমের ব্যবস্থা করে দেয়ার । মাননীয় প্রধান মন্ত্রী যেন নারী শিক্ষা মন্দিরের অমাবস্যার অন্ধকার আকাকে এককালি পূর্ণিমার চাঁদ । সেদিন দুরে নয় যেদিন ১৯২৮ সালের ঢাকাবাসীর শত নারী শিক্ষা মন্দিরের সাফল্য আর জয়ের গাঁথা সমগ্র দেশবাসী অবাক হয়ে দেখবে ।

Read More

Notice Board

Read More

সুবর্ণ জয়ন্তী কর্ণার

Read More

YOU CAN KNOW

By Our Digital Documents

YouTube

Educational Channel

View Details

Facebook

Class Routine Details

View Details

Education

Institution Details

View Details

VIDEO GALLERY

Watch our latest video

Apply Now

PHOTO GALLERY

Here you can review some statistics about our School

50

Teachers

10

Staff

9

Classes

2150

Students